ইডির নজরে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার নিয়োগ
ডায়মন্ডহারবার পুরসভা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার নাম আগেই জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে (ED)। তদন্তের স্বার্থে পুরসভাকে বেশ কিছু প্রশ্ন সম্বলিত নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইডিকে পাঠালো পুরসভা। জানা গিয়েছে, ইডির (ED) প্রশ্ন ছিল যে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল? পাশাপাশি তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নোটিশে। সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাস।
প্রসঙ্গত ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায় (ED)। অভিযোগ, এই নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের তৈরি করে অয়ন শীলের সংস্থা। চেয়ারম্যানের অবশ্য দাবি যে অয়ন শীলকে তিনি চিনতেন না এবং পুরসভার ব্যবস্থাপনাতেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। চেয়ারম্যানের আরও দাবি, স্বচ্ছভাবেই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে যাঁদের নিয়োগ (ED) করা হয় তাঁরা প্রত্যেকেই ওই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে ওই ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন বহিরাগত এবং বাকি ১৩ জন স্থানীয়। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শহরের ১০ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হালদার।
পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালহার অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন (ED)। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ হয়েছে। তারিখটা সঠিক বলতে পারব না। তবে নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিল বৈঠক করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয় (ED)।’’ মীরাদেবীর আরও সংযোজন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অয়ন শীল বলে কে আছেন কিংবা না আছেন, তা জানা সম্ভব ছিল না।’’ প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম এবং সেখান থেকেই সন্ধান মেলে রাজ্যে ৬০ পুরসভায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির (ED)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।