রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মেরুন ডায়েরির পর ফের উদ্ধার আরও এক ডায়েরি
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে উঠে আসা লাল ডায়েরি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে। ইতিমধ্যে রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছে ইডি। ফের এক ডায়েরির সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি হতে পারে তদন্তে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই ওই ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইডির দাবি, ওই ব্যবসায়ী স্বীকারও করেছেন যে বাকিবুরের নির্দেশেই গমকল থেকে আটা তৈরি হওয়ার পর সরকারি খাদ্য সামগ্রীর ২০ থেকে থেকে ৩০ শতাংশ সরিয়ে ফেলা হতো। পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো। এই বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে (Ration Scam)। কোথায় কোথায় সেই আটা প্যাকেট করা হতো, সেই সমস্ত জায়গারও সন্ধান মিলেছে ওই ডায়েরিতে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। শুধু তাই নয় ওই ডায়েরি থেকে মিলেছে বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং প্যাকেজিং সংস্থার নামও।
অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে 'অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড'-এর অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি টাকা। অন্যান্য জায়গায় তল্লাশিতেও মিলেছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি। ২৭ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি চালিয়ে এই নগদ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অঙ্কিত চান্দকদর। তাঁর সূত্র ধরেই বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি যোগ পাওয়া গিয়েছে। চান্দকর পরিবারেরই সদস্য হলেন দীপেশ চান্দকর। ২০০৪ সালে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দীপেশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।