যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ডিনের পর কাকে তলব করছে লালবাজার?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্ট রজত রায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের বাধাতেই আইন প্রয়োগ করা যায় না, বৃহস্পতিবার বিকালে লালবাজারে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক এমন কথাই বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্ট রজত রায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রজত রায়কে। বিকাল ৩টে নাগাদ তিনি লালবাজারে হাজিরা দেন, সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বেরিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ডিন কি নিজের কাঁধ থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে সবটা ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইলেন? আইন কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়েই তো সরকার তাঁদের মতো আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসায়। মোটা টাকা বেতন দেয়। অথচ বিপাকে পড়লে তাঁরা এই ধরনের দায় এড়ানো মন্তব্য করেন। তাই ডিনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ডিন?
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক প্রশ্ন করা হয় রজত রায়কে (Jadavpur University)। যেমন ডিন অফ স্টুডেন্টস এর কাজ কী, তাঁর ভূমিকা কী, এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিনা, হস্টেল সুপারের (Jadavpur University) ভূমিকা কী ইত্যাদি। ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে ঠিক কী হয়েছিল? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয় ডিন অফ স্টুডেন্ট এর কাছে। তাঁর কাছেও জানতে চাওয়া হয় যাদবপুরে কোনও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড আছে কিনা? এদিন কার্যত তিনি স্বীকার করে নেন যে অ্যান্টি স্কোয়াড থাকলেও তা কার্যকরী নয়, সেখানে অনেক খামতি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, সেদিন ঘটনার সম্পর্কে (Jadavpur University) রজত রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত ৯ অগাস্ট রাত ঠিক ১০টা ০৫ মিনিটে হস্টেল থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে এবং তাঁকে বলা হয় এক ছাত্রকে পলিটিসাইজ করা হচ্ছে। ফোন পেয়ে ১০টা ০৮ মিনিটে ডিন হস্টেলের সুপারকে ফোন করেন এবং বিষয়টি জানান। কিন্তু সুপার তারপর আর কিছু জানাননি। ডিন এও বলেন, রাত ১২টা ০৮ মিনিটে হস্টেল সুপার আবার তাঁকে ঘুরিয়ে ফোন করেন এবং গোটা বিষয়টি জানান। লালবাজার সূত্রে খবর, ডিনের বয়ানে পুলিশের মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) এবং হস্টেলে আইন-শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে। এবং ডিনও কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন। ডিনের বয়ানের পরে হস্টেল সুপারকেও লালবাজারে তলব করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডিনের অনেক কথার মধ্যেই চরম অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।