Nursing home: বাঁকুড়ায় নার্সিংহোমে মৃত ব্যক্তির নাম কীভাবে রাজ্য সরকারের তালিকায়, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র?
বাঁ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডান দিকে মৃত শিবুর স্ত্রী। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা গত একমাসের বেশি সময় ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তৃণমূল সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হওয়া বেশ কিছু নাম প্রকাশ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার (Bankura) এক মৃতের পরিবার জানিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাঁদের রোগীর, নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতলে ভর্তি থাকার সময় ঠিক ভাবেই পরিষেবা পেয়েছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রাজ্য সরকারের এই মৃতের তালিকা প্রকাশ আদতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বদনাম করার কৌশল নয় তো? অন্তত এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
গত ৯ অগাস্ট আরজি করে অভয়াকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। সুবিচারের দাবিতে ঘটনার পর থেকে টানা প্রতিবাদে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চলছে লাগাতার কর্মবিরতি। আন্দোলনকে তুলে দিতে নানা সময়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে তৃণমূল সরকার। হাসপাতলে ঠিক করে পরিষেবা না দেওয়ার কথা দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এমন কী যেসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) শিবু মালাকারের। তবে কীভাবে এই রোগীর নাম তালিকায় এসেছে, তা নিয়ে হতবাক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর দায় বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “সিনিয়র ডাক্তাররা সবসময় পরিষেবা দিচ্ছেন। দরকার হলে আমরাও আন-অফিসিয়ালি গিয়ে কাজ করছি। চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি। ন্যায়-বিচারের আন্দোলনকে বদনাম করা হচ্ছে।”
বাঁকুড়ার (Bankura) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন একজন শ্রমিক। তিনি মাল বহন করতেন। গত ১১ অগাস্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু পরে তাঁকে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২২ অগাস্ট শিবুর মৃত্যু হয়।
মৃত শিবুর স্ত্রী সুমিত্রা মালাকার বলেন, “নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেখানেই মৃত্যু হয় স্বামীর। হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। সরকার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি। আমরা গরিব মানুষ। সরকার যদি দেয়, তাহলে টাকা নেব।”
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চলছে ‘মাফিয়া রাজ’, সিবিআই চেয়ে রাজ্যকে চিঠি রাজ্যপালের
উল্লেখ্য পরিবারের পক্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় গাফিলতির কথা অস্বীকার করলেও স্থানীয় (Bankura) তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হাসপাতালে গাফিলতির কথা বলেন। তিনি বলেন, “শিবুকে ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া হয়নি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।