বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনার পর বড় পদক্ষেপ নিল রেল, কী তা জানেন?
বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনার পর (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়। ৩৪ জন যাত্রী জখম হন। সেই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এই ধরনের বিপর্যয় যাতে না হয়, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে একটি করে জলাধার আছে। এর মধ্যে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি, আসানসোল ডিভিশনের আটটি এবং মালদা ডিভিশনের একটি জলের ট্যাঙ্ক। বিপদ এড়াতে এই সব ক'টি ট্যাঙ্ককেই ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি জলাধার আছে। সেগুলির সব ক'টিকেই নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আছে শিয়ালদা ডিভিশনের সাতটি, আসানসোল ডিভিশনের ২৩টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪টি এবং মালদা ডিভিশনে চারটি ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, হেরিটেজ তকমা পাওয়া বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিপর্যয় ঘটে। স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ। ওই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ক্রান্তি বাহাদুর (১৪), সোনারাম টুডু (৩৫), মফিজা বেগম (৩৫) এবং সুধীর সূত্রধর। ক্রান্তি এবং সোনারাম দু'জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন মফিজা। এই ঘটনার পরই রেল কর্তৃপক্ষ বহু পুরানো জলাধার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন স্টেশনে আরও কিছু জলাধার চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপজ্জনক হিসেবে সেগুলিকেও পরে নষ্ট করে ফেলা হবে। আপাতত নষ্ট করার আগে সব চিহ্নিত জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জল ভরা হবে। যদি মনে হয় কোনওটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলির সংস্কার করা হবে। সে কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে আশা করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।