BJP: জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক, কী বললেন?
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক হিসেবে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান। কিন্তু, পারছেন না। বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। তৃণমূল সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধানসভার অভ্যন্তরে অবস্থানে বসার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক তথা বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।
শনিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে করে বিজেপি বিধায়ক বলেন, নিজের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬০টি প্রকল্প দিয়েছি। তারমধ্যে মাত্র আটটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হলেও সেই কাজ নানা টালবাহানা আটকে রেখেছেন জেলাশাসক। বাকি প্রকল্পগুলি ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি কোনও টাকা ছাড়ছেন না। এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে দিচ্ছেন না জেলাশাসক। এতে সাধারণ মানুষের কাছে বিধায়ক হিসেবে আমার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। জেলাশাসক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের খুশি রাখতে চাইছেন। তাই শিলিগুড়িতে আসেন শুধু শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের কর্মসুচিতে যোগ দিতে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, আমি বিধায়ক হয়েও তার সঙ্গে দেখা করতে পারি না। মনে রাখতে হবে, আজ না হোক কাল সরকার পরিবর্তন হবে। আমরা ক্ষমতায় আসব। তখন কাউকে ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
বিধায়ক (BJP) শঙ্কর ঘোষ বলেন, সরকারি জমি উদ্ধারের নামে গজলডোবা রিসর্ট ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ফুলবাড়ির জমি কাণ্ডে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার, পুরোটাই নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগানের (Siliguri) লিজ নেওয়া জমি দখল করে দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের চেয়ারম্যান মেয়ের নামে ফ্ল্যাট বানিয়েছেন। জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিধানসভা সর্বত্র অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার ব্যাপারে জেলাশাসক কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আগামী সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। সেখানে আমি স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এরকম আরও অনেক দুর্নীতি নিয়ে চিঠি দেব। রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমি বিধানসভার অভ্যন্তরে অবস্থানে বসব।
বিজেপি (BJP) বিধায়ক আরও বলেন, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা সহ জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা অন্যান্য জায়গায় জমি দুর্নীতি নিয়ে আমি জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাঁর দফতরের সামনে আমাকে ৫০ মিনিট বসিয়ে রাখার পর আমার সঙ্গে দেখা না করে বেরিয়ে যান। বলেন, পূর্ব নির্ধারিত অন্য কর্মসূচি রয়েছে, সেখানে তাঁকে যেতে হবে। তা জেনেও আমাকে তিনি ৫০ মিনিট বসিয়ে রেখেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেমন নাটক করবেন সেভাবেই চলবেন আমলারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।