আগরতলা থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি।
ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া যুবকের পরিচয় পত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বচসার জেরে চলন্ত ট্রেন থেকে যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের নলহাটিতে ট্রেন লাইনের ধার থেকে এক রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল এলাকার মানুষজন। বৃহস্পতিবার নলহাটি থানার পাইকপাড়া থেকে মথুরা যাওয়ার পথে কাদিরপুর গ্রামে ওই রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওই যুবকের বাড়ি ত্রিপুরায়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম শিপুল নাথ। তার বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরনো রাজবাড়ি থানার তেবাডিয়া গ্রামে। ওই যুবকের কথা অনুযায়ী, আগরতলা থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও ৩ বন্ধু। কামরায় তাদের সঙ্গে ছিল ৫ যুবক। তুচ্ছ কারণে তাদের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা বেধে যায়। ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। ট্রেনের মধ্যেই শুরু হয় হাতাহাতি। অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। আহত যুবকের অভিযোগ, "মারধর করে আমাদের ব্যাগ, টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। আমিও পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা আমাকে ধরে ফেলেয তারপর মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।" বাকি তিন বন্ধু কোথায় কীভাবে আছেন, এখনও জানেন না শিপুল।
আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও এহেন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ভাইরাল হয়েছিল সেই ঘটনার ভিডিও। ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার আরও ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। গত বছর এপ্রিল মাসেই মোবাইল চিনতাইয়ে বাধা দেওয়াও এক যুবতীকে ট্রন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে নলহাটি থানার লোহাপুর রেল স্টেশনের কাছে। গুরুতর জখম হন ওই কলেজ ছাত্রী। গত বছর ১৫ অক্টোবর হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সজল শেখ নামে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক দিন পর মুল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত বোলপুরের বাসিন্দা মন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি রামপুরহাট সংলগ্ন আয়াস গ্রামের এক ব্যাক্তিকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ছিল। ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।