কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না, দাবি রাজ্যের
কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA)বকেয়া নেই। মঙ্গলবার পুজো অনুদান মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে আসন্ন পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এদিন হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করা হয়।
রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। অনুদান নিয়ে এদিন আদালতে রাজ্য বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে। রাজ্যের মতে, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। রাজ্য সরকার পূজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই "পুলিশ " অনুশীর্ষে অর্থাৎ " সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ" খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের তথা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়। সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করলে এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।