Sandip Ghosh: আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে ইডি, ফের কাদের তলব করা হল?
সন্দীপ ঘোষ। এঁর স্ত্রীকে ফের তলব করেছে ইডি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষকে ফের তলব করল ইডি (ED)। এর আগে দুর্নীতির মামলা সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। সোম ও মঙ্গলবার ইডি সন্দীপের স্ত্রীকে ডেকেছিল। ফের তাঁকে ডাকা হল। ইতিমধ্যেই ২৫টি ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সন্দীপের একাধিক সম্পত্তি সামনে আসতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, কলকাতায় সন্দীপের অন্তত তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকী সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের নামে কলকাতায় দুটি ফ্ল্যাট ও একটা ফার্ম হাউস রয়েছে বলেও খবর। বহরমপুরে জোড়া ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে সন্দীপের নামে। তবে, সেই সম্পত্তির কতটা বৈধ সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দীপের আত্মীয়দের নামে কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না সেটার খোঁজও চলছে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ যখন আরজি করে অধ্যক্ষ পদে ছিলেন তখন তাঁর স্ত্রীও ছিলেন একই মেডিক্যাল কলেজে সহকারি অধ্যাপক। ইতিমধ্যেই ইডি সন্দীপ ও সঙ্গীতার সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে। ইডির (ED) তরফে আধিকারিকরা সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়েছিলেন। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় তিনঘণ্টা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেছিল ইডি। এরপর সন্দীপের স্ত্রী এসে তালা খুলে দেন। তবে, সন্দীপের স্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন তাঁর স্বামী কোনও অন্যায় করেননি। সব অভিযোগই মিথ্যে বলে তিনি দাবি করেছিলেন। তবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সবটাই খতিয়ে দেখছেন সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। আলিপুর কোর্টে সন্দীপকে ঘিরে মঙ্গলবারও চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এমনকী প্রিজন ভ্যানে জুতো দিয়েও আঘাত করেন অনেকে। সন্দীপের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান তোলেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!
আরজি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় এবার সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল ইডি (ED)। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অপারেটর হিসেবে কাজ করেন এই প্রসূন। বুধবার সকালে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ 24 পরগনায় প্রসূনের বাড়িতে প্রায় ৭ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখান থেকে এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক নথি পান তাঁরা। এরপর প্রসূনকে আটক করে সন্দীপ ঘোষের ক্যানিংয়ের ফার্ম হাউসে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে সন্দীপের ব্যবহার করা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পান ইডি-র আধিকারিকরা।
আরজি কর হাসপাতালে যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তে নেমেছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তবে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি সামনে আসায়, সমান্তরাল তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসূনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হলেও সেখানে হাজিরা দিয়ে সোজা চলে আসতেন উত্তর কলকাতার আরজি করে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক তছরুপের ঘটনাও রয়েছে। সন্দীপের (Sandip Ghosh) সম্পত্তি সম্পর্কে প্রসূন ঠিক কতটা জানেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে (ED) ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।