img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Recruitment Scam: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

কাজে লাগানো হয়েছিল বিশেষ কিছু এজেন্টদেরও।

img

মানিক ভট্টাচার্য ও কুন্তল ঘোষ।

  2023-02-08 15:22:29

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতেই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নগর দায়রা আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি।  বুধবার, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন, এই কাজে মানিককে পুরো সাহায্য করতেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।

OMR শিটে সাঙ্কেতিক প্রশ্ন

ইডির দাবি অনুযায়ী, দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, OMR শিটেও সাঙ্কেতিক প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ যারা টাকা দিয়েছে, তা বোঝা যেত উত্তরপত্র দেখেই। বিষয়টি কীরকম ? কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা নাকি আগেই জানিয়ে দেওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। এই দুটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও বাকি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া দেখেই বোঝা যেত, কোন কোন পরীক্ষার্থী টাকা দিয়েছেন।  নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা  কুন্তল ঘোষকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। আদালতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, একসময় গোটা দুনিয়া থেকে বাংলায় ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসত। এখন অযোগ্যদের হাতে এই প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়েছে।সেই কারণেই অন্যত্র পড়তে যাচ্ছে বাংলার পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

টাকার পাহাড়

কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন। ইডি-র দাবি, পার্থর ক্ষেত্রে তাঁর ঠিক করা কোনও লোকের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়া হত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

West Bengal

ssc scam

Manik Bhattacharya

Recruitment scam

kuntal ghosh


আরও খবর


ছবিতে খবর