Kolkata: লটারি প্রতারণাকাণ্ডে শুক্রবারও কলকাতায় চলছে ইডি তল্লাশি, কী মিলল?
লেক মার্কেটের এই আবাসনে চলছে ইডি তল্লাশি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সকাল থেকেই তদন্তকারীদের কয়েকটি দল দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এবং আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে যে নথি প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ফিউচার গেমিং নামে একটি গোষ্ঠী নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব থেকে বেশি চাঁদা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে।আদতে কেরলের কোচি শহরের বাসিন্দা সান্তিয়াগো মার্টিন নামে এক পেপার লটারি ব্যবসায়ীর সংস্থা ওই ফিউচার গেমিং। এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মার্টিন ও তার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ২০টি ঠিকানায় তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারিকদের বিশেষ দল। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের মহিষবাথান, উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগর-সহ দক্ষিণ কলকাতার দুই ঠিকানা। ইডি সূত্রের খবর, লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি বহুতল আবাসনে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও।
আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু
৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। লটারির টিকিট বিক্রি করেও সেই টিকিট নম্বরে লটারি না করিয়ে সম্পূর্ণ অন্য সিরিয়াল নম্বরের টিকিটের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া-সহ অজস্র আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি (ED)। অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে আসে ইডির বিশেষ দল। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।