img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Manik Bhattacharya: 'কিংপিন' মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।

img

মানিক ভট্টাচার্য

  2022-10-12 16:51:35

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন 'কিংপিন' মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের  অভিযোগ, তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। 

আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর ম্যারাথন জেরা চালানোর পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি নিয়োগ হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি নিয়োগ। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পুরো কেলেঙ্কারির 'কিংপিন' মানিক বলেও দাবি করা হয়েছে। কি কবে, কোথায় টাকা দিতে হবে সবকিছুই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন ততকৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরর সভাপতিই।  তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।

আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।

তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কল এবং মেসেজ ডিটেলসও। মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

Enforcement Directorate

Manik Bhattacharya

SSC TET Scam


আরও খবর


ছবিতে খবর