আমার ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন সব তথ্য গোপন করেছিলাম। সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডির সামনে বিস্ফোরক অর্পিতা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিল ইডি৷ সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫৮ দিনের মাথায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে,অর্পিতার ৩১টি জীবনবিমার রয়েছে। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে যে জীবনবিমার উল্লেখ করা হয়েছে তার বার্ষিক প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা। বেশিরভাগ প্রিমিয়ামই ৫০ হাজার টাকার এবং কয়েকটির প্রিমিয়াম ৪৫ হাজার টাকা। সেগুলোর অধিকাংশেরই নমিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রিমিয়ামের টাকাও দিতেন তিনিই।
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ তাঁর সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছিলেন৷ কিন্তু এই এলআইসি পলিসিগুলি অন্য কথা বলছে। এই পলিসিগুলি পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ। চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল থেকেই অধিকাংশ তথ্য পেয়েছে তাঁরা৷ সেই তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে পার্থর ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গেও৷ ইডি জানিয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা৷
আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই
ইডির দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন ও টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় ইডির কাছে এ কথা স্বীকার করেছে অর্পিতা। ইডি-কে একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে অর্পিতা জানিয়েছেন, 'আমার ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন সব তথ্য গোপন করেছিলাম। সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। টাকার উৎস বলতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই।' অন্যদিকে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থবাবু সব দায় চাপিয়েছেন দফতরের আধিকারিকদের ঘাড়ে। তাঁর কথায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখতেন শিক্ষা দফতর। তিনি শুধু সই করে দিতেন। তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই সীমিত। তিনি আধিকারিকদের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তাহলে প্রশ্ন এত টাকা এল কোথা থেকে?