Sandip Ghosh: সন্দীপের শ্যালিকার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাঞ্চল্যকর নথি হাতে এল ইডির....
সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার বাড়িতে মিলল ডাক্তারি পরীক্ষার উত্তরপত্র (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউ ডেস্ক: আরজি করের দুর্নীতি মামলায় এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে। শুধু সন্দীপ নন, এই দুর্নীতি মামলায় তাঁর একাধিক আত্মীয়ও তদন্ত সংস্থার স্ক্যানারে। একাধিকবার সন্দীপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, শ্যালিকার বাড়িতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়ে নয়া তথ্য হাতে এসেছে ইডির (ED)। সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে মিলেছে বিপুল পরিমাণে ডাক্তারি পরীক্ষার উত্তরপত্র। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী আধিকারিকদের।
কলকাতা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি সন্দীপের শ্যালিকার। আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ এবং শ্যালিকা অর্পিতা বেরাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি (ED)। তার আগে শ্যালিকার বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশি করেছে। উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি নিয়ে শ্যালিকাকে এজেন্সির আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। শ্যালিকার বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমাণে উত্তরপত্র মেলে বলে খবর। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ পাতার উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার উত্তরপত্র রয়েছে। এই উত্তরপত্রের কপি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি (ED)।
এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে টেন্ডারের কপি, দলিল, সম্পত্তির কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে ইডি। এর আগে, শ্যালিকার বাড়ি থেকেই সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ল্যাপটপ উদ্ধার করেছিল ইডি (ED)। এছাড়া, শ্যালিকার বাড়ির পাশেই যেখানে সন্দীপের শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন, সেখান থেকে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সন্দীপের শ্যালিকাও ইএসএআই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ডাক্তার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার স্বামী এসএসকেএমের একজন ডাক্তার। প্রশ্ন উঠছে, এত উত্তরপত্র সেখানে কেন? এই কপি কীভাবে সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার বাড়ি থেকে পাওয়া গেল, তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি থাকা সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) সঙ্গে এই বিষয় কথা বলতে চান ইডি-র (ED) তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “কত বড় জালিয়াতি, দুর্নীতি, একে একে সব বেরোচ্ছে। সন্দীপ ঘোষ একা নয়, গোটা পরিবার যুক্ত। প্রথম থেকেই বলছি, এটা একটা সিন্ডিকেট। সন্দীপরা মাঝের অংশ। নিচে কিছু স্যাঙাত আছে, ওপরে আছে মাথারা। এই শ্যালিকা আবার দেশছাড়া না হয়ে যান।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে আরজি কর হাসপাতালে যে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রথম সামনে আনেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন-মেডিক্যাল) আখতার আলি। তবে, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চারতলার সেমিনার রুমে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনার তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে রাজ্য সরকার। গঠিত হয় সিট। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তভারও চলে যায় সিবিআই দুর্নীতি দমন শাখার হাতে। যেহেতু আর্থিক তছরুপের ঘটনা, ফলে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে ইডিও (ED)। আর ইডি-র হাত ধরে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।