ED raid in Kolkata: এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয় ইডি-র ৩টি দল। প্রথমে...
ইডি হানা (ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবাসরীয় সকালে শহর কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গায় ফের হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয় ইডি-র ৩টি দল। শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি-অভিযান (ED raid in Kolkata)। ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, কলকাতার তিন জায়গা— পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে আজ হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা। প্রতিটি দলে ২ জন মহিলা সহ রয়েছেন ৪ জন আধিকারিক। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একটি দল যায় পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের ৩৬/১ এবং ৩৪/এ বহুতল আবাসনে। সেখানে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। দ্বিতীয় দলটি যায় গার্ডেনরিচে। সেখানে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে চলে জোর তল্লাশি। তৃতীয় দলটি মোমিনপুরে ১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের
সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। গত জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। পরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার করে। এছাড়া বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর পরই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছে ইডি-কে।
এই কাণ্ডেই গত সোমবার ইডি আধিকারিকরা সোদপুরের রাজেন্দ্র পল্লিতে হানা দেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে যুক্ত সুব্রত মালাকারের বাড়ি ‘স্নেহদিয়া’য় পৌঁছন আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় সাত ঘণ্টা পর ওইদিন বেলা তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় সুব্রতকে।
আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা
পাশাপাশি, কয়লাকাণ্ডেও এর আগে শহরজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। পার্ক সার্কাস, মিডলটন স্ট্রিটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন আধিকারিকরা। মিডলটন স্ট্রিটের শেঠিয়া হাউস, একটি ট্রাভেল কোম্পানির অভিসে হানা দিয়েছিল ইডি। কলকাতার গোলপার্ক ও চেতলার দু’জায়গাতেও চলেছিল তল্লাশি।