সকাল থেকেই শহরে তল্লাশি-অভিযানে ইডি, এ বার কোন মামলায়?
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলার তদন্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি অভিযানে নামল ইডি (ED Raids)। এদিন সকাল ৭টা থেকে এক সঙ্গে তিন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাওড়ার সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিল, বালিগঞ্জে জুটমিলটির মালিকের বাড়ি এবং কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে ‘ডেল্টা’ সংস্থার অফিসে চলছে তল্লাশি। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ৩ সেনা কর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল মায়ানমারের জুন্টা সরকার, জানেন কেন?
‘ডেল্টা লিমিটেড’ এবং ‘ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থার তরফে তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না। এই খাতে প্রায় ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই এই দুই সংস্থার ৫ ডিরেক্টরকে (ED Raids) আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুই জানেন না এঁরা। সংস্থার আয়-ব্যয় বা কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। এমনকী, কে এঁদের ডিরেক্টর (ED Raids) হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানেন না।’’
অভিযুক্ত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডিকে (ED Raids) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় বসেছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস। সেদিনকার নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার চলছে তল্লাশি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেসময় এসএফআইও-কে এফআইআর দায়ের করার জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। এই নির্দেশের পরেই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘এর নেপথ্যে পাট শিল্পের বড় বড় মাথা রয়েছেন। তাঁরা আমার বদলিও করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। এসব আমি বরদাস্ত করব না।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।