চার্জশিটে শান্তনু ও অয়নের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করার পাশাপাশি কী ভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে কী ভাবে নগদ টাকার হাত বদল হয়েছে, সমস্তটাই উল্লেখ করা হয়েছে
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ১৭টি জেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জাল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তারা প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছিল। তালিকায় যেমন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুরের নাম রয়েছে, তেমনই নাম রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হুগলি, নদীয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার নামও। সোমবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে শান্তনু ও অয়নের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করার পাশাপাশি কী ভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে কী ভাবে নগদ টাকার হাত বদল হয়েছে, সমস্তটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের নামে একগুচ্ছ অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে সেই চার্জশিটে। নামে-বেনামে মোট ১৪টি সম্পত্তি রয়েছে শান্তনুর। ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কর্মচারী থেকে একাধিক সঙ্গীর নামেও সম্পত্তি থাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা উদ্ধার হয়েছিল। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ১০ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ৩৪৬ জনের তালিকায় ১৪৮ জন চাকরিপ্রার্থীই বীরভূমের বাসিন্দা। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সংখ্যার নিরিখে তার পরে রয়েছে মালদহ, কোচবিহার, বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া। সবচেয়ে কম প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখান থেকে মাত্র একজন প্রার্থী চাকরির জন্য শান্তনুদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৯ মে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল, ঘোষণা পর্ষদের
টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার বিষয়টিও জায়গা পেয়েছে ইডির চার্জশিটে । শান্তনুর বিরুদ্ধে লেখা একটি চিঠি এই তদন্তে ইডির হাতিয়ার। চাকরি পেতে কয়েক জন চাকরি প্রার্থীর তরফে দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, যে চিঠি পেয়েছিলেন শান্তনু, তাতে জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছিলেন অনেকে বলে জানতে পেরেছে ইডি। কিন্তু চার বছর অপেক্ষার পর মেলেনি চাকরি, টাকা ফেরত পেতে শান্তনুকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছিল চিঠি। ইডির কাছে শান্তনু নিজেও ওই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।