লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত ও লতা...
ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘরেই চলে এল ইডির সমন! যার জেরে ক্রমেই বিপাকে পড়ছে তৃণমূল! তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠাল অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ৩ অক্টোবর হাজির হতে বলেছে ইডি। ওই সপ্তাহেই কোনও একদিন অমিত ও লতাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে ইডির তরফে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। নিউ আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Abhishek Banerjee) কোম্পানিতেও হানা দেয় ইডি। টানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত ও লতা। এই সংস্থায় তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্রও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি তলব করেছিল অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তিনিই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। সেদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক ইডিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, “প্রমাণ থাকলে ইডি আমাকে গ্রেফতার করুক। আমি চাই আমাকে গ্রেফতার করুক। তাহলে আমার বয়ান ওদের কোর্টে জমা দিতে হবে। সবাই দেখতে পাবে আমি কী বলেছি। তাহলেই সবাই বুঝতে পারবে আসল ঘটনা।” এদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে অভিষেক সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টর ও কর্মীর যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুুন: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে অনেক টাকা ঢুকেছে বলে দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, “আমি অনেক নথি জমা দিয়েছি। ওই কোম্পানিতে জেট এয়ারওয়েজের টাকা ঢুকেছে। সুভাষ আগরওয়ালের হাত দিয়ে কয়লার টাকা ঢুকেছে। বৈদিক ভিলেজের মালিক দেড় কোটি টাকা ঢুকিয়েছে। এগুলির প্রামাণ্য নথি রয়েছে। কোম্পানির সঙ্গে জড়িতদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তা জমা দিলেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ (Abhishek Banerjee) হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।