img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Egra: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

বাজি কারখানার আড়ালে কী হত? বিরোধীদের আনা অভিযোগই এবার প্রমাণিত হল

img

এই বাড়িতে বাজি কারখানার আড়ালে চলত বোমা তৈরির কাজ (নিজস্ব চিত্র)

  2023-05-18 12:48:12

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার। এগরা (Egra) বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা বার বার এই অভিযোগ করে আসছিলেন। এটা যে শুধু রাজনীতি করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছিল তা নয়, বিরোধীদের আনা এই অভিযোগই এবার প্রমাণিত হল। কৃষ্ণপদ বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় যে বোমা বাঁধা হত, সেই দাবি করেছেন এক নিহতের পরিবারের সদস্য। এমনকী সেই কারখানায় কেউ বোমা বাঁধার কাজ করতে না গেলে তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণোর পর বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। মৃতের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর মধ্যেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ সিআইডির সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেন। আর বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সিআইডি আধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ঘটনাস্থল দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত এক মহিলা সহ ৯ জনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মহকুমা হাসপাতালে বুধবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর দেহ মর্গে রয়েছে। আর বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জনকে খাদিকুলে এবং ২ জনকে দিঘায় সত্কার করা হয়েছে। বহুদিন ধরেই ভানু বাগের কারখানায় বোমা তৈরি করতেন মাধবী বাগ নামে এক গ্রামবাসী। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেতেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন মাধবীদেবীর ছেলে আকাশ বাগ। তিনি বলেন, ওই  কারখানায় বাজির পাশাপাশি বোমা তৈরি করা হত। মা কাজে যেতে না চাইলে ভয় দেখানো হত। এমনকী বোমা দিয়ে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তাই সেখানে বোমা বাঁধার কাজ হত। মা বাড়ি এসে এসব কথা বলত।

ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?

বোমা বিস্ফোরণের দিন কথা বলতে গিয়ে আকাশবাবু বলেন, মা প্রতিদিনের মতো সেদিন কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আমি দুপুর মাকে ডাকতে গিয়েছিলাম। ঘরের মধ্যে সকলেই কাজ করছিলেন। ফিরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি সব শেষ। বাজি কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে দেহ। মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখে আমার আর কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

east medinipur

egra

betting factory


আরও খবর


ছবিতে খবর