রাজ্যের নতুন চার জেলা শাসক কারা হলেন?
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে গত শনিবারই। তারপর থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি (Election Commission)। এরফলে সরকারি অফিসার, আমলা, পুলিশ বদলির নির্দেশের বিশেষ ক্ষমতা এখন সরকারের বদলে নির্বাচন কমিশনের হাতে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের চার জেলাশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় কমিশন। এবার বাংলার ওই চার জেলার নতুন জেলাশাসকদের নামও ঘোষণা করে দিল কমিশন। কমিশনের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন জেলাশাসক (Election Commission) হিসেবে ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস জয়শী দাসগুপ্তর নামে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। বীরভূমের জেলাশাসক পদে কমিশন এনেছে শশাঙ্ক শেঠিকে। জানা গিয়েছে, ইনিও ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস। পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসক করা হচ্ছে ২০১১ সালের ব্যাচের রাধিকা আইয়ারকে। এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক করা হয়েছে ২০০৭ সালের ব্যাচে মৌমিতা গোদারা বসুকে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের নতুন দায়িত্বে কাজে যোগ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার একসঙ্গে এই রাজ্যের ৪ জেলাশাসককে বদলি করে কমিশন (Election Commission)। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায় এবং বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। শুক্রবার, নতুন ৪ জনকে নিযুক্ত করল কমিশন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশন যে সদা সক্রিয় থাকবে সেই বার্তা ভোটঘোষণার দিনই অর্থাৎ গত ১৬ মার্চ দিয়ে রেখেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ‘৪ এম’-এর কথা বলেন। অর্থ (Money), পেশিশক্তি (Muscle), ভুল তথ্য (Misformation) এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন (MCC Violation)। এই ‘৪ এম’-কে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্রিয় কমিশন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।