১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার তলব…
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের চারটি জায়গায় একশো দিনের কাজের দুর্নীতিতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। মুর্শিদাবাদের রথীন্দ্রনাথ দে-র বাড়িতে চলে ব্যাপক তল্লাশি। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা চলেছে টানা জেরা। ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার হয়েছে। ফের তাঁকে আগামী শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন সকাল ১০টায় হাজিরা দিতে হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বক্তব্য, “তৃণমূল এখন ক্যাগ আতঙ্কে ভুগছে”।
ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তখন অবশ্য রথীন্দ্র বেলডাঙা-১ এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যণ্ট পদে কাজ করেছিলেন। উল্লেখ্য, এই অভিযোগের ভিত্তিত্বে তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই সূত্র ধরেই তাঁর বহরমপুরের বাড়িতে মঙ্গলবার সারাদিন ব্যাপী চলে তল্লাশি। এবার বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়কেও কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুরের কালীবাড়ি এলাকায় রাজ্যের দুই সরকারি কর্মীর বাড়িতে ইডি (Enforcement Directorate) কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একশো দিনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী এবং অপর ব্যক্তি হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার মনরেগা প্রকল্পের বর্তমান নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পান।
গতকাল ইডির (Enforcement Directorate) তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শশী পাঁজা বলেছেন, “শুভেন্দু দিল্লিতে একাধিক মন্ত্রক এবং মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। আলোচনার বিষয় সম্পর্কে কিছুই বলেননি। অথচ ঠিক পরের দিন থেকেই ইডি সক্রিয় হয়ে পড়েছে। আগামী দিনে কী ইডি পরিচালনা করবে? আসলে ২০২১ সালে বিধানসভায় হারার পর থেকেই বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।