বোলপুর সংলগ্ন বেরুগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে মারা গেছেন জবা কিস্কু নামে একজন
বোলপুর সংলগ্ন বেরুগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ (নিজস্ব ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মধ্যেই ডায়রিয়ার (Diarrhea) হানা। আক্রান্ত আস্ত একটি গ্রাম। বোলপুর সংলগ্ন সিয়ান- মুলুক আদিবাসী অধ্যুষিত বেরুগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে কমবেশি ২৫০ জন অসুস্থ বলে জানা গিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জার্মান প্রকল্প এবং টিউবওয়েলের বেশ কয়েকটি কল থাকলেও সেগুলি অচল। পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় তিন কিলোমিটার দূর থেকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জিবা কিস্কু (৬০) নামের এক গ্রামবাসী মারা গিয়েছেন। অপরিশ্রুত পানীয় জল থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারনা গ্রামবাসীদের। সোলার সিস্টেমের একটি জলের ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় দিনই খারাপ হয়ে থাকে। স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার জানানো সত্বেও মেলেনি কোনও সুরাহা, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অধিকাংশ আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকেই ক্রমশ গ্রামে ডায়রিয়ার (Diarrhea) প্রকোপ বাড়তে থাকে বলে খবর। কারও বমি, মাথাব্যথা, কারও আবার পেট ব্যথা। চিকিৎসা চললেও প্রতিদিনই কোনও না কোনও আক্রান্তের খবর আসছেই।
জনৈক গ্রামবাসী সুকুল সাহানি, সোমাই সোরেনরা বলছেন, ‘‘পানীয় জল থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। একাধিক জার্মান প্রকল্পের কল থাকা সত্ত্বেও সেগুলি অচল। টিউবওয়েল ব্যবহার করা অযোগ্য। বাধ্য হয়েই পাশের গ্রামে তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা গ্রামই এখন আতঙ্কিত।’’ অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রীতা কর্মকার বলেন, ‘‘২৭৪ নম্বর কেন্দ্রেও জল না থাকার কারণেই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশের গ্রাম থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। গোটা গ্রামই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।’’
যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ অথবা পানীয় জল থেকে এই ধরনের রোগ হতে পারে। অবশ্যই খবর নিয়ে দেখা হবে। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রয়োজনে আশা কর্মীদের দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।