img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

কুণাল তাঁর ফেসবুক পোস্টটিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অনুরোধও করছেন

img

মেমারি কলেজের ফাইল ছবি।

  2023-05-12 19:22:14

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করলেন কলেজেরই ড্রপআউট হওয়া ছাত্র কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP)। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

কী লেখা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে?

ফেসবুক পোস্টে কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP) লিখেছেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাসিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। তবুও তিনি কলেজে না এসে অ্যাড সহকারে বাড়িতে টিউশন পড়ান। ছাত্র পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মাইনে নিয়ে থাকেন। যেখানে কোর্ট থেকে পুরোপুরি বলা আছে, একজন স্কুলটিচার বা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না, সেখানে একজন কলেজ প্রিন্সিপাল কীভাবে এইরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? এরাই আবার ডিএ-র (DA) জন্য আন্দোলনে বসে। নিজের লেখা বক্তব্যের সঙ্গে একটা ভিডিও ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করে কুণাল সেটিকে প্রিন্সিপালের প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও বলে দাবি করেছেন। এমনকী কুণাল তাঁর গোটা ফেসবুক পোস্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধও করছেন। 

কী বললেন সেই কুণাল ভট্টাচার্য?

এই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর কুণাল ভট্টাচার্যর (TMCP) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মেমারি থানার আমোদপুর গ্রামে। মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে তিনিই পোস্ট করেছেন বলে কুণাল ভট্টাচার্য স্বীকার করে নেন। 'নব জোয়ার' কর্মসূচিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমানে আসার আগে এমন পোস্ট কেন? এর উত্তরে কুণাল দাবি করেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের কীর্তি আমার দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার এটাই যথার্থ সময়। তাই বৃহস্পতিবার সেটাই করেছি। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ভট্টাচার্য দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকেই প্রিন্সিপাল সহ্য করতে পারেন না। কলেজের কোনও ছাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) করলে তাকেও প্রিন্সিপাল বিষনজরে দেখেন।" কুণালের দাবি, মেমারি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে তিনি পড়তেন। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে তিনিও প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিষনজরে পড়েন। আর সেই কারণেই তাঁকে ২০২০ সালে ড্রপআউট হতে হয়। কুণালের আরও অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বেশিরভাগ দিন কলেজে আসেন না। যেদিন প্রিন্সিপাল কলেজে আসেন, সেদিন তৃণমূল সমর্থক কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য ওনার কাছে কোনও নথিতে সই করাতে গেলে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। হাতে ব্যথা রয়েছে, এই অজুহাত খাড়া করে প্রিন্সিপাল সই করেন না। পাশাপাশি যে কোনও বিষয়েই প্রিন্সিপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার করেন বলে কুণাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ।

কী জবাব দিলেন প্রিন্সিপাল?

যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী। পাল্টা অভিযোগ এনে দেবাশিষবাবু বলেন, "এই কুণাল ভট্টাচার্য আসলে কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি (TMCP) নেতা তথা বর্তমান কলেজকর্মী মুকেশ শর্মার সাগরেদ। চক্রান্ত করে তাই কুণাল ভট্টাচার্য আমার নামে নানা মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করছে"। প্রিন্সিপাল এও বলেন, "আমি যখন রামপুরহাট কলেজে ছিলাম, তখন প্রাইভেট পড়াতাম। মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব নেবার পর থেকে আমি প্রাইভেট পড়াই না। আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে আসি। বিকাল পাঁচটার পর কলেজ থেকে বের হই। আসলে সরকারি গাইডলাইন মেনে যথাযথভাবে কলেজ চালাচ্ছি, কোনও অনৈতিক কাজ করতে দিচ্ছি না, তাই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। এতে কিছু যায় আসে না বলে দেবাশিষ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন।

প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেতৃত্বও

অন্যদিকে মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তী কলেজের কথা, ছাত্রছাত্রীদের কথা কিছুই ভাবেন না। উনি কলেজে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বিহিত হওয়া দরকার"।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Bratya Basu

Madhyom

Mamata

bangla news

Bengali news

Abhishek

TMCP

memari college

principal


আরও খবর


ছবিতে খবর