রক্তদান শিবিরের নামে যুব তৃণমূল নেতারা এ কী করছেন?
রক্তদান শিবিরের জন্য তৃণমূলের সেই কুপন (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বার বারই কাটমানি, তোলাবাজির অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই অভিযোগ যে সত্যি তার প্রমাণ মিলল এবার হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে। রক্তদান শিবিরের নামে চলছে তোলাবাজি। ব্যবসায়ীদের থেকে বেশি টাকা নিয়ে ৫০ টাকার রসিদ দেওয়ার হচ্ছে। তৃণমূলের প্রতীক কুপন ছাপিয়ে অবাধে চলছে তোলাবাজি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
১ জানুয়ারি হাওড়ার শ্যামপুর বাছরী অঞ্চল যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির হওয়ার কথা রয়েছে। রক্তদান করলেই রক্তদাতাদের এই শীতে কম্বল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিবিরের মুখ্য আয়োজক তৃণমূলের যুব অঞ্চল সভাপতি রেজুয়ান আলি খান ও যুব অঞ্চল সম্পাদক সাগর দে চাঁদা তোলার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রক্তদান একটি সামাজিক কাজ। কিন্তু এর জন্য অনেক খরচ। মানুষই ভালবেসে টাকা দিচ্ছেন। আমরা চাঁদা কেটে দিচ্ছি। তোলাবাজির কোনও বিষয় নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিজেদের দলের রক্তদান শিবির। তারজন্য সাধারণ মানুষের কাছে কেন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। সিপিএম একসময় কৌট নাচিয়ে তোলাবাজি করত। এই দলের অবস্থাও এরকম হবে। আসলে রক্তদানকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতারা এলাকা থেকে মোটা টাকা তুলছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, ১০০ টাকা চাঁদা নিয়ে ৫০ টাকার রসিদ দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের লোকজন রক্তদান শিবির করছে। ফলে, কিছু বলার নেই।
হাওড়া (Howrah) গ্রামীণের তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে কোনও চাঁদা তোলা যায় না। এটা কেন হচ্ছে, জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। সাধারণ মানুষের থেকে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। হাওড়া গ্রামীণ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, রক্তদান সামাজিক কাজ। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এখানে কুপন কেটে চাঁদা তোলা ঠিক নয়।
হাওড়ার শ্যামপুরের কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান বলেন, দলটাই দুর্নীতিতে ভরা। রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কাজ করতেও তোলাবাজি করছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছুই নেই। শ্যামপুরের বিজেপি নেতা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে তোলাবাজিও এখন একটা বড় শিল্প। আসলে সামনে লোকসভা ভোটের জন্য তৃণমূল এভাবেই ধীরে ধীরে টাকা তুলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।