Unemployment: ‘এগিয়ে বাংলা’? ২০২৩-২৪ সালে ১৬৯টি কারখানা বন্ধ! পরিসংখ্যান মন্ত্রী মলয় ঘটকেরই
পরিযায়ী শ্রমিক। প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমল থেকেই রাজ্যের মানুষের একটা বড় প্রশ্ন ছিল, শিল্প-কলকারখানা (Factory in Bengal) কোথায়? কোথায় বিনিয়োগ? কোথায় কাজ? রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান কবে হবে? উত্তর আর সামধান, কোনওটাই জোটেনি এই রাজ্যের মানুষের কপালে। বাম রাজত্বের পতনে মিলেছে শুধু বিরাট ঋণের বোঝা। রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর শাসক বদলে গেলেও বেকারত্বের (Unemploymen) হার কমেনি, বরং দিন দিন বেড়েছে। মানুষ পেটের দায়ে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছে। করোনার অতিমারির সময় সারা দেশে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি ছিল। এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাক্যবাণে শোরগোল পড়েছিল।
বেকারত্ব নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর (Factory in Bengal)
রাজ্যে মা-মাটি সরকারের আমলে একাধিকবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হলেও দেখা যায়নি কোনও আশার আলো। সম্প্রতি তারাতলায় ব্রিটানিয়ার কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের আরও তোপের মুখে পড়তে হয় মমতার সরকারকে। রাজ্যের বিধানসভায় সম্প্রতি আইএসএফ বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে কতগুলি কলকাখানা বন্ধ আছে, কত শ্রমিক বর্তমানে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? এরপর যা তথ্য উঠে এল, তাতে ‘এগিয়ে বাংলা’ কতটা বলা যায়, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “২০২২-২৩ সালে রাজ্যে মোট ১৭১টি কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ ছিল, আর ২০২৩-২৪ সালে অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যের ১৬৯টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক রূপে কাজ করছেন মোট ২১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন শ্রমিক। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যায় কাজ করছেন মহারাষ্ট্রে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “কেরলের ধসের ঘটনায় রাজ্য থেকে যাওয়া ২৪২ জন শ্রমিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব তথ্য সরকারের দফতরে জমা রয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের
রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “২১ লক্ষের বেশি এই শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র এক বছরে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালে কলকারখানা (Factory in Bengal) নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যের মা মাটি সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। ওয়েনাড়ে কর্মরত বাংলার অনেক শ্রমিক (Unemploymen) এখনও আটকে রয়েছেন। এখনও সবার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করতে পারেনি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।