নকল ইডির অফিসার সেজে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ...
ধৃত ভুয়ো ইডির অফিসারে প্রদীপ সাহা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভুয়ো ইডির অফিসারের (Fake ED officer) পরিচয় দিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা এক যুবকের। সেইসঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যুবক। অভিযুক্তকে একেবারে হাতেনাতে ধরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনেই গণপ্রহার করল প্রতারণার শিকার মেয়ের পরিবার। অভিযুক্ত অবশ্য স্বীকার করেছে আগেও তিনটি পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ন’মাস আগে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়। ভুয়ো ইডি অফিসার যুবকের (Fake ED officer) নাম প্রদীপ সাহা। নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর দুই পরিবারেরে মধ্যে সেই মতো কথাবার্তাও এগিয়ে যায়। অভিযুক্তের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
ঘটনায় প্রতারিত তরুণীর অভিযোগ হল, “প্রদীপ নিজেক ইডির (Fake ED officer) তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল। ইতিমধ্যে বিবাহের কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে। এরপর তার আচরণে সন্দেহ হলে হাত-পা বেঁধে সোজা ইডির দফতর সিজিও-তে নিয়ে আসা হয় প্রদীপকে। সঙ্গে ছিলেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু দফতরে আনার পর প্রদীপের পরিচয় জানা গেল, সে কোনও ইডির অফিসার নয়। এরপর শুরু হল বেধড়ক মারধর।”
তরুণীর ভাই দেবজিৎ সাহা জানিয়েছেন, “সাদি ডট কম ওয়েব সাইট থেকে আমাদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়। বিয়ের কথা ঠিক হলে বিয়ের জন্য কার্ড ছাপানো হয়। আমাদের পরিবারের কাছে প্রদীপ জানায় দুর্নীতির তদন্ত করে তার শরীর খারাপ, তাই চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন। এরপর টাকার চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু পরে সংস্থার দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানে প্রদীপ নামে কেউ কোনও বিভাগে কাজ করে না। এরপর তাকে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে ভুয়ো কার্ড এবং ইডি (Fake ED officer) লেখা জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।”
প্রসঙ্গ ক্রমে জানা গিয়েছে প্রদীপকে এই প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করছে তার মা এবং বোন। মূলত মোবাইলের অ্যাপের মধ্যমে সে এই কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। নিজেকে অবশ্য নির্দোষ বললেও তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আপাতত তদন্ত শুরু করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।