Bangladesh: রাজ্যে ভুয়ো নথি দিয়ে আসল ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরির রমরমা…
ভারতীয় পাসপোর্ট। প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে আসল ভারতীয় পাসপোর্ট করে দেওয়ার চক্র ফাঁস হয়েছে রাজ্যে। গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনাকে দেশ থেকে বিতারিত করার পর প্রচুর জঙ্গি, দুষ্কৃতী এবং জেহাদিরা উন্মুক্ত হয়ে ঘোরাফেরা করছে। ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে ভারত প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের জাল নথি দিয়ে আসল পাসপোর্ট (Fake Passport) তৈরির চক্র সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিলে বাংলাদেশিরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের মধ্যে এখনও ৭৪ জনকে গ্রেফতার করা যায়নি। ফলে একটা আশঙ্কা থাকছেই ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে।
ভারতীয় প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের সন্দেহ বাংলাদেশের (Bangladesh) দুষ্কৃতীরা এই দেহে ঢুকে গোপনে ভুয়ো নথি দেখিয়ে পাসপোর্ট (Fake Passport) বানিয়ে ফেলছে না তো! জানা গিয়েছে, এই রকম ভাবে পাসপোর্ট তৈরি করতে সহযোগিতা করছেন পোস্ট অফিসের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীরা। সম্প্রতি চারজনকে সন্দেহজনক কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে দাঁড়িয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যে মোট ৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের হাতে ভারতীয় পাসপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে।” একই ভাবে পুলিশ জানিয়েছে ওই সংখ্যা বেড়ে এখন ২৫০ পর্যন্ত হতে পারে।
পাসপোর্ট (Fake Passport) জালিয়াতির জন্য পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে তার মধ্যে রয়েছে বসিরহাট পোস্ট অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটার তারকনাথ সেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ঢাকুরিয়া পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কর্মী দীপক মণ্ডল। বারাসতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস এবং তাঁর ছেলে রিপন। পুলিশ জানিয়েছে, দীপক নিজে ভুয়ো তথ্য দিয়ে পাসপোর্টগুলি তৈরি করত। ডাকের মাধ্যমে পোস্ট অফিসে এলে এগুলিকে সংগ্রহ করে নিজেরাই ঠিক জায়গায় (Bangladesh) পাচার করে দিত। এতেই চিন্তা বেড়েছে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুনঃ “কংগ্রেস অম্বেডকরকে যে অপমান করেছে, তা ভোলার নয়”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রী মোদির
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে যার পাসপোর্ট (Fake Passport) বানানো হবে তার ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং জাল শিক্ষাগত সার্টিফিকেট তৈরি করা হত। এরপর সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হত। সেই তথ্য যাচাই করার পর তৈরি হত পাসপোর্ট। ফলে সব জাল নথির ভিত্তিতে তৈরি হতো আসল ভারতীয় পাসপোর্ট। নতুন পাসপোর্টের খামের উপর কায়দা করে ভুল ঠিকানা দেওয়া হত, ফলে সেগুলি ডাকে পাঠালে ঘুরে আবার পোস্ট অফিসেই ফিরে আসত। এরপর ২-৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হত নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।