নৈহাটির কাছে জুবিলি ব্রিজের ঘটনা...
প্রেমিক যুগলের ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে মত দেয়নি পরিবার। তাই প্রেমিকাকে (Lover) সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় মরণ ঝাঁপ দিল প্রেমিক। নৈহাটির জুবিলি ব্রিজে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার নাম স্নেহা খাতুন (১৯) এবং প্রেমিক মহম্মদ মোক্তার। স্নেহাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর মোক্তারের হদিশ মেলেনি। যদিও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। জগদ্দলের বহড়াপাড়ায় বাড়ি স্নেহা খাতুনের। আর জগদ্দলের বাঁকাড় মোড়ে বাড়ি মহম্মদ মোক্তারের। প্রথমে বন্ধুত্ব। পরে, প্রেমের (Lover) সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। স্নেহা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর মোক্তার ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। স্নেহার বাবার খুব বেশি রোজগার ছিল না। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারার পর পরই মোক্তারের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান। ফলে, মেয়ের বাড়ির লোকের মত থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেন। দুই পরিবারের নির্দেশে দুজনের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরই তাঁরা দুজনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্নেহার এক বান্ধবী সাবিনা খাতুন বলেন, পরিবারের লোকজন মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা স্নেহাকে অনেকটাই বোঝাতে পেরেছিলাম বলে তাঁরা আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। তবে, এবারও যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে যোগাযোগ করে প্রেমিক (Lover) যুগল জগদ্দল থেকে ট্রেনে চেপে নৈহাটি আসে। সেখান থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে হুগলিঘাট স্টেশনে নামে। এরপর লাইন ধরে তারা জুবিলি ব্রিজে আসে। সেখান থেকে মরন ঝাঁপ দেয়। লাফ দেওয়ার পর প্রেমিকা সোজা গঙ্গায় পড়লেও প্রেমিক ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে। এরপর মেয়েটি চুঁচুড়ার তেলেনিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় পৌঁছাই। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর পুলিশ দুজনের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।