রবিবার রাজ্যে পা রাখছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই, দেশে বেজে যাবে নির্বাচনের দামামা। তার আগে, রবিবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এসবের মধ্যেই বকেয়া জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোনায়াই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিশনের।
রাত পোহালেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, ৩ মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতায় আসছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে দুপুর নাগাদ রাজ্যে পা রাখবেন ইসি, ডেপুটি ইসি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সহ মোট ১৩ জন সদস্য। রবিবার দুপুর আড়াইটে থেকে চারটের মধ্যে তাঁরা কলকাতায় আসবেন বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে (Loksabha Vote)। ফুল বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে থাকছেন অরুণ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র শর্মা, নীতেশ ব্যাস প্রমুখ। সেক্ষেত্রে ৩ মার্চের বৈঠক রাজীব কুমারের অনুপস্থিতিতেই হতে পারে। তবে, পরের দিনের যে বৈঠক, তার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকছে বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার ৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে কমিশন। এই বৈঠকের পরেই হবে জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আলাদা বৈঠকে বসবে কমিশন। পুলিশ কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনার, আইজি-রা থাকবেন সেই বৈঠকে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কমিশন পৃথক বৈঠক করবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে (Loksabha Vote)।
এই পরিস্থিতিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনকে। তার কারণ, এক সপ্তাহ আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছিল ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে যেন অতি অবশ্যই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে পৌঁছে দেওয়া হয়। অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে গ্রেফতার করা (Loksabha Vote)। সেই মোতাবেক গত সপ্তাহের শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত নির্দেশকে কার্যকর করতে বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। যখন এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন সংখ্যাটা ছিল লক্ষাধিক যা এই মুহূর্তে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি বলেই জানা গিয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এক্সিকিউটেড জামিন অযোগ্য মামলার সংখ্যা ৭৩ হাজার ৩৬৬।
এদিকে, গতকালই রাজ্যে চলে এসেছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটারদের (Loksabha Vote) মধ্যে ভয় দূর করতে এবং সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোট ঘোষণার আগে কমিশনের এমন পদক্ষেপ কার্যত নজিরবিহীন। কমিশনের সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক কতটা উদ্বেগজনক। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সূত্রের খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার সংখ্যা কমানোর বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাতে ভোটাররা ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন এবং নিজেদের ভোট দিতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।