Dev: বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি! দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘাটালবাসীর
সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের তেজে পুড়ছে গোটা বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে জল সংকটে ভুগছে ঘাটাল। তাপমাত্রার পারদ যখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি পার করেছে তখন পানীয় জলের সংকটে (Ghatal Water Crisis) নাজেহাল হচ্ছে ঘাটালের (Ghatal) গ্রামবাসী। প্রবল দাবদহের মধ্যে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সী পাড়া এলাকার ৩০ পরিবার।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদ দেবকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। তাতেই গ্রামে (Ghatal) বিক্ষোভের আঁচ। এলাকার লোকজনের দাবি, আজ নয়, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে একই অবস্থা এলাকার। কিছুদিন আগেই এলাকায় প্রচারে এসেছেন ঘাটালের দুবারের সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তাঁর কাছে জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে এলাকার (Ghatal) বাসিন্দা অনিমা বক্সি বলেছেন, “কার্তিক মাস থেকে জল নেই। সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু শোনেনি। দেবও কদিন আগে এসেছিল। ওকেও বলেছিলাম আমরা। এখন তো এদিক ওদিক থেকে জল এনে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছি।” আর এক মহিলা বলেন, “৬ মাস ধরে জল নেই। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছি।” যদিও দেব (Dev)
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলেকশনের পর কাজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার
জানা গেছে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গ্রামে হয়েছিল সজল ধারার কাজ। তবে সূত্রের খবর, বিদ্যুতের বিল সময় মতো না দেওয়ায় সেই সংযোগও বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আবার এলাকায় পিএইচইর পাইপ লাইনের ট্যাপ কল বসেছে। কিন্তু, জল এখনও আসেনি তাতে। ফলে সমস্যার (Ghatal Water Crisis)সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। এদিকে জল সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়ে চলেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর।
বিষয়টি নিয়ে বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে দুষছেন। তবে তাঁর আশ্বাস সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে। জল পাবে এলাকার মানুষ। কিন্তু, এলাকার (Ghatal) মানুষের দাবি, প্রতিশ্রুতি অনেক পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।