সরকারের উদাসীনতায় স্কুলের পোশাকের হাল দেখলে চমকে উঠবেন
মাঠে স্কুল ড্রেসে ছাগল। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে স্কুল ইউনিফর্মের কী দশা! যে পোশাক পরার কথা ছাত্রদের, তা পরে ঘাস খাচ্ছে একাধিক ছাগল। সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে স্কুলের ড্রেস। কিন্তু স্কুল শিক্ষকদের উদাসীনতার কারণে এমনই চিত্র দেখা গেল। পুরুলিয়ার (Purulia) বাঘমুন্ডির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। জেলায় জেলায় স্কুলে ছাত্রদের সঠিক অনুপাতে শিক্ষকের অভাব একটা বড় সমস্যা এই রাজ্যে। এছাড়াও রয়েছে স্কুলের সঠিক পরিকাঠামোর অভাব, নেই শৌচালয়, নেই ক্লাসরুম। বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় স্কুলঘরের অভাবে অনেক স্কুলের ক্লাস হয় গাছতলায়। এবার স্কুলের ড্রেস নিয়েও চূড়ান্ত অবহেলার চিত্র ফুটে উঠল।
পুরুলিয়ার (Purulia) বাগমুন্ডি স্কুলে এই চাঞ্চল্যকর দৃশ্য উঠে আসতেই এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকার চানোর এক বাসিন্দা দিলীপ প্রামাণিক বলেন, “প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে দেখি, গ্রামের এক বাসিন্দা একদল ছাগলকে নিয়ে মাঠে গিয়েছে। আর সবকটি ছাগলের গায়ে রয়েছে সরকারি স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক। এই ঘটনার জন্য স্কুলের উদাসীনতাই একমাত্র দায়ী।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু শিক্ষকেরা পোশাকের ব্যবহার ঠিকভাবে করছেন না। এই জন্যই স্কুলের পড়ুয়ারা সঠিক সময়ে স্কুলের ড্রেস পাচ্ছে না। এই সবটাই ঘটেছে বাগমুন্ডি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয়রঞ্জন মাজির জন্যই। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই।”
স্কুলের (Purulia) প্রধান শিক্ষক মলয়রঞ্জন মাজি অবশ্য অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “এই নীল রঙের জামাগুলি হচ্ছে স্কুলের পুরাতন পোশাক। এখন স্কুলের জামার রং সাদা করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল পড়ুয়ার গায়ের এই জামা কীভাবে ছাগলের গায়ে এল, সেই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।” অপর দিকে ছাগলের মালিক জানিয়েছে, স্কুলের “কোনও শিক্ষক এই ড্রেস দিয়ে যায়নি। তাছাড়া তাদের সন্তানরাও ওই স্কুলে পড়াশুনা করে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।