ছাগলের বসন্ত রোগের সংক্রমণ কী এলাকার মানুষের মধ্যে ছড়াবে?
ছাগলের বসন্ত রোগ। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাগলের মারণ রোগ দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের কামারপাড়া এলাকায়। ছাগলের মড়কে ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করা গ্রামের মানুষের জীবন। পাশাপাশি, বসন্ত জাতীয় রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। ছাগলের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়, এবার তা মানুষের মধ্যে ছড়াবে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় ছাগলের চামড়ায় গুটি গুটি দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ঘা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলেই ছাগলের মৃত্যু ঘটছে। আক্রান্ত ছাগল থেকে অন্য ছাগলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। কামারপাড়া (Balurghat) এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় তিরিশটি আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা জানা গিয়েছে। ছাগলের মৃত্যুর ঘটনায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের গরিব মানুষ, অপরদিকে, ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে খাসির মাংস বিক্রেতাদেরও। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ছাগলের মড়কের ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামের হাট গুলোতে খাসির মাংস বিক্রি কমে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। বালুরঘাট ব্লক পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক আদিত্য কুমার পাল জানান, ছাগলে সংক্রমিত পক্স রোগ, চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়। আতঙ্কের কারণ নেই। এই প্রসঙ্গে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সম্পাদক বাপী সরকার জানান, গ্রামের বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কামারপাড়া (Balurghat) স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ছাগলের মধ্যে রোগ দ্রুত সংক্রমণের ফলে বহু ছাগলের মৃত্যু হচ্ছে। রোগ সংক্রমণের কারণে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, ছাগলের মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। এলাকার মানুষের দাবি, সরকারি কোনও চিকিৎসা আমরা পাচ্ছি না। নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে প্রাইভেট ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারি ভাবে এই রোগের চিকিৎসা হোক।
অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের (Balurghat) প্রধান মিরিলা মুর্মু জানান, ছাগলের মৃত্যুতে গরিব গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ছাগলের মধ্যে রোগ সংক্রমণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাণী সম্পদ বিভাগকে জানানো হবে। এলাকায় মাইকিং করে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ছাগলের চিকিৎসা নিতে বলা হবে স্থানীয় মানুষদের।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের (Balurghat) ডেপুটি ডিরেক্টর অভিজিৎ মন্ডল জানান, ছাগলের বসন্ত রোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। গ্রামবাসীদের ছাগলের চিকিৎসা করাতে বলবো। রোগটি ছাগল থেকে ছাগলের মধ্যে সংক্রমিত হলেও, মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আতঙ্কের কারণ নেই। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।