Nabanna Raj Bhawan Conflict: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত চরমে...
(বাঁদিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ছবি— সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে (Nabanna Raj Bhawan Conflict) নতুন মাত্রা। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও হিংসার অভিযোগ তুলে সরাসরি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। গতকাল, বৃহস্পতিবার, ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড’ নামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করা হয়। জবাব হিসেবে রাজ্যের তরফে ৯-পাতার চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের ভূমিকা ও আইনি ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর পরই, শুক্রবার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজভবন।
সূত্রের খবর, রাজনৈতিক (CV Ananda Bose) উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। আরও জানানো হয়েছে যে, এই যাবতীয় অভিযোগগুলির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্ট কিংবা কলকাতা হাইকোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপাল! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ বোসের
ঠিক কী কারণে এই পদক্ষেপ? দিন কয়েক আগে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে অপসৃত করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, তাঁকে পুনর্বহাল করে রাজ্য। রাজ্য-রাজ্যপালের সাম্প্রতিকতম সংঘাতের (Nabanna Raj Bhawan Conflict) সূত্রপাত সেখান থেকেই। এর পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। ব্রাত্য বসুর সেই পদক্ষেপ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে, শিক্ষামন্ত্রীকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে, রিপোর্ট কার্ড পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই বলে মনে করিয়ে দেওয়া আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্বহালের ক্ষমতাই নেই রাজ্যের। রাজভবনের বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের আদেশের কথা উল্লেখ করে আচার্যের ক্ষমতা ‘স্মরণ’ করানো হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।