শিক্ষা যেন শুধু খাতা-বইয়ের মধ্যে আবদ্ধ না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে আইনগত বা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে একজন রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের (Shakespeare) হ্যামলেটের মতো ‘টু বি অর নট টু বি’-র সংশয় নিয়ে বসে থাকবেন না। কারণ, শিক্ষা আমাদের এটাই শেখায়”। সোমবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কে যখন ফাটল ধরেছে, তখন রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষায় বাংলা পথ দেখাবে। বাংলার ছেলেরা সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াবে। তিনি বলেন, “শিক্ষা যেন শুধু খাতা-বইয়ের মধ্যে আবদ্ধ না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। তার মাধ্যমে যাতে কর্মসংস্থান হয়, তাও খেয়াল রাখতে হবে সব পক্ষকে”।
কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। তিনি বলেন, এই নয়া শিক্ষানীতি দেশের ছাত্র সমাজকে নতুন দিশা দেখাবে। বাংলার শিক্ষার প্রশংসা করে তিনি বলেন, একদিন বাংলা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলার শিক্ষা যে সেরা, তা বলেছিলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় রাজভবন ছেড়ে যাওয়ার পর আসেন সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তার পর থেকে রাজভবন-নবান্নর মধ্যে সমন্বয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে হয় হাতেখড়ির অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা লেখা শুরু করেছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর যে গভীর অনুরাগ রয়েছে, তা বহু বার বলেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত বাঁধে রাজভবন-নবান্নর। বাড়তে থাকে দূরত্বও।
আরও পড়ুুন: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের
এহ বাহ্য। কিছুদিন আগে রাজভবনের তরফে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গতিবিধি এবং আর্থিক লেনদেনের হিসাব চাওয়া হয়। তা নিয়ে ফের একপ্রস্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে নবান্ন। দিন কয়েক সারপ্রাইজ ভিজিটে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তাঁকে মত্ত হস্তীর সঙ্গে তুলনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি রাজভবনে আটকে রয়েছে বেশ কয়েক মাস। তা নিয়েও রাজভবন-নবান্ন হয় মনান্তর। এহেন প্রেক্ষাপটে এদিনের সমাবর্তনে রাজ্যপালের দৃপ্ত ঘোষণা, “রাজ্যে আইনগত বা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে একজন রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মতো টু বি অর নট টু বি-র সংশয় নিয়ে বসে থাকবেন না”।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।