রাজ্যপাল আরও বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে দাবি আসছে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার জন্য
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন কড়া বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজভবন থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী রাজ্যপাল বলছেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায়। ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান হল এই বাংলার মাটি। সেখানে এধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
রাজ্যপাল আরও বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে দাবি আসছে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার জন্য। রাজ্য সরকারকে এদিন গণতন্ত্রের পাঠও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অংশ হল বিক্ষোভ এবং আন্দোলন, কিন্তু হিংসা এবং সন্ত্রাসের অনুপ্রবেশ কখনই কাম্য নয়। সমাজবিরোধীরা যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তাদের কড়া হাতে দমন করার কথাও রাজ্য সরকারকে মনে করিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মত, পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসাররা কোনও নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে এবং ভয়ের কাছে নত হয়ে কাজ করবেন না এটাই বাংলার মানুষ চায় সবসময়। পুলিশকে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনও রকমের শিথিলতাকে যেন প্রশয় না দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে এভাবে গুণ্ডারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বলেও তিনি একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। বিভিন্ন মহলের ধারনা শাসক দলের গুণ্ডাদের হাতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ চলে গিয়েছে এবং পুলিশ নিধিরাম সর্দার, এটাই এদিন বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথাও তিনি বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যপাল যে চোখ কান বন্ধ করে থাকবেনা এবং রাজ্যের যেকোনও প্রান্তে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে যে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন সেটাও এদিন রাজ্য সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকার যেন অবিলম্বে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়, এই আবেদনও রেখেছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: