সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ
কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?
বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।
কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।
যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।