"হিন্দু মুসলিম সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা", রায় দানের পর প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিজিৎ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁদিকে), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ডানদিকে)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। রায় নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আর আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) । এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। রায় শোনার পরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন।
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ (Abhijit Ganguly) বলেন, "যাঁরা যোগ্য প্রার্থী তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের ঠকিয়েছেন এই মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী। বঞ্চিতদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান সকলে আছেন। সকলের উচিত মমতাকে বয়কট করা। ওঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। আমার খারাপ লাগছে, এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে আছি। তিনি জোচ্চুরিকে প্রশ্রয় দেন। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত। যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন। তাতে হিন্দু-মুলসিম সকলেই ছিলেন। হিন্দু মুসলিম সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা। রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা সাধারণত অবিচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাও সেই কাজ করেছেন। এখন আমাদের আনন্দের দিন নয়। আমি যখন বিচার করছিলাম, অনাচার ধরা পড়েছিল। আবার ধরা পড়েছে। উপযুক্ত রায় দিয়েছে আদালত।"
আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট
এসএসসি মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অভিজিতের (Abhijit Ganguly)। তিনিই প্রথম এই মামলা শোনেন এবং ৮১৬১টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল ছিল। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখান থেকে এসএসসি মামলা আবার ফেরানো হয় হাই কোর্টে। বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে মে মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সাড়ে তিন মাসেই সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২০ মার্চ বিচার শেষে রায় স্থগিত রেখেছিল আদালত। এদিন আদালত রায় ঘোষণা করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।