পুলিশের জেরার মুখে ভাঙড়ের আরাবুল, কী হাল দেখুন এই দাপুটে নেতার
আরাবুল ইসলাম (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে তিনি নাকি বেতাজ বাদশা। তাঁর কথায় এলাকা কাঁপে। দাপুটে সেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের একী হাল। কাশীপুর থানায় ডেকে তাঁকে টানা তিনি ঘণ্টা জেরা করা হয়। পুলিশি জেরায় তিনি কার্যত ঘেমে যান। বার বার তিনি জল চান। দাপুটে নেতার অবস্থা দেখে তাঁর অনুগামীরা হতবাক হয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন, ১৫ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার মেলার মাঠে আইএসএফ ও তৃণমূলের বোমা-গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এঁদের মধ্যে দু'জন তৃণমূল কর্মী, রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। অন্য দিকে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার। মহিউদ্দিনের বাবা কুতুবুদ্দিন মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট গত বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আপাতত তিনি লালবাজারে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। গ্রেফতারের প্রায় এক সপ্তাহ পর আরাবুলকে কাশীপুর থানায় আনা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। ওসির ঘরে তাঁকে দফায় দফায় তদন্তকারী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা গিয়েছে, সে দিন ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে ঘটনা নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রশ্ন বাণে কার্যত ভেঙে পড়েন দাপুটে তৃণমূল নেতা। থানা থেকে লালবাজারে যাওয়ার আগে আরাবুলের অনুগামীরা থানার বাইরে ভিড় জমান। কিন্তু কড়া পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে কেউ ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি।
আরাবুল গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে আনার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন থানাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লালবাজারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় পরিবারের লোকজন এসেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। পরিবারের বিষয়ে কিছু কথা হয়। তারপর পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে ফের লালবাজার নিয়ে চলে যায় পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।