বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ শিশুর। এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৫০ জন শিশুর।
অ্যাডিনো-আতঙ্ক।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) মোকাবিলায় চেষ্টা চললেও শিশুমৃত্যু ঠেকাতে পারছে না সরকার। কোন পথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা বুঝে উঠতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও শিশুদের বেড নেই। তাই এবার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে অ্যাডিনো নিয়ে আলোচনায় বসল স্বাস্থ্য কমিশন।
মঙ্গলবার, রাজ্যে সাম্প্রতিক অ্যাডিনো (Adenovirus) পরিস্থিতি নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের অন্যান্য কর্তারাও। ১৫ মার্চ পর্যন্ত কতজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, মৃতের হার কত, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। ২৫ মার্চের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামিদিনে অ্যাডিনো মোকাবিলায় হেল্পলাইন নম্বর চালুর পাশাপাশি একটি ওয়েব পোর্টাল চালুর ভাবনাও রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। এই পোর্টালের মাধ্যমে কোন হাসপাতালে কতগুলি শয্যা খালি আছে, তা জানা যাবে।
আরও পড়ুুন: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের
আগামিদিনে এই ধরনের ভাইরাস (Adenovirus) হামলা করলে বা কোনও অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা মোকাবিলা করতে হাসপাতালগুলি কতটা তৈরি আছে, কী কী পরিকাঠামো আছে, কোনটার অভাব আছে, তা রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম, শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য প্রমুখ। দিনে দিনে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ শিশুর। এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৫০ জন শিশুর। অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ফের ভর্তি হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যা উদ্বেগের বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয়বার যে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থা আরও বেশি সংকট জনক হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।