Hili-Tura corridor: সুকান্ত মন্ত্রী হতেই কর্মসংস্থান নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন বালুরঘাটবাসী..
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের ছেলে মন্ত্রী হতেই আশায় বুকবাঁধছেন জেলাবাসী। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কেন্দ্রের জোড়া মন্ত্রক পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বিজেপির এই রাজ্য সভাপতিকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা একটি প্রান্তিক জেলা। এই জেলাতে তেমন নেই কোনও শিক্ষা ব্যবস্থা, তেমন নেই কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই জেলার মানুষ সবদিক থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করে থাকেন। জেলাতে থমকে রয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজ। জেলাতে নেই কোনও স্থায়ী বিশ্ববিদ্যালয়। জেলার সদর শহর বালুরঘাটে তৈরী হয়েছে বিমান বন্দর কিন্তু সেখানে চলাচল করেনা বিমান। জেলাবাসী আশা করছেন, সুকান্ত সমস্ত থমকে যাওয়া কাজগুলি চালু করবেন। এই আশাতে বুক বাঁধছেন বালুরঘাট সহ জেলাবাসী।
প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবারে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ হলেন। প্রথমবার সাংসদ হয়ে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন আর এবারে সাংসদ হয়ে তিনি জেলাবাসীকে চমক দিয়ে দিলেন। ঘরের ছেলে হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ঘরেই উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো নেই। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয় পেলেও তার হাল বেহাল। স্থায়ী ভবন নেই। নেই স্থায়ী পরিকাঠামো, অধ্যাপক সহ অনেক কিছুই। এমন পরিকাঠামোহীন শিক্ষা ব্যবস্থার জেলা থেকে তিনি এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ফলে আশায় বুক বাঁধছেন জেলাবাসী। সুকান্তের হাত ধরে কি জেলার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হবে? এমন চর্চা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর ২০২১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও, এখনও তৈরি হয়নি স্থায়ী ভবন। বালুরঘাট তথা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা করা হোক। আবার হিলি থেকে মেঘালয় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মাত্র একশো কিলোমিটার একটা করিডর হলে একেবারে আমুল বদলে দিতে পারে পূর্ব ভারতের সাথে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। সেই কারণেই জেলাবাসী হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডোরের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। নানা আন্দোলন করেও এতদিনে এই করিডোর বাস্তবায়নের পথ মিলছিল না। তবে এবারে ঘরের ছেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হতেই জেলাবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানান জেলার মানুষ। এই বিষয়ে বালুরঘাটবাসী তুহিনশুভ্র মন্ডল বলেছেন, “আমাদের ঘরের ছেলে সুকান্ত বাবু (Sukanta Majumdar) মন্ত্রী হয়েছেন। তাও আবার দুটি মন্ত্রকের। আমরা তাঁর কাছে আশা রাখছি আমাদের জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং কর্মসংস্থানের প্রগতি হোক। হিলি-তুরা করিডর দ্রুত এইবার বাস্তবায়ন হবে।”
আরও পড়ুনঃ বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “হিলি-তুরা করিডোর নিয়ে আগেই নানা চিঠি মন্ত্রকে দিয়েছিলাম। করিডরটি চালু হলে শুধু জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গে নয় সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উন্নতি ঘটবে। তাই এই করিডোর বাস্তবায়ন করতে যা যা পদক্ষেপ করতে হবে, করব। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেন্দ্র সরকার কী কী করতে পারে, এ বিষয়ে আমি আশ্বস্ত করতে চাই। রাজ্য সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ অর্থ সহায়তা দিতে কোনও অসুবিধা হবে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।