Calcutta High Court: ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে, জানালো কোর্ট...
বাঁ দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ডান দিকে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। গড়ে প্রত্যেকদিন ১০টি করে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। খোদ রাজ্যের দেওয়া হিসেব দেখে এবার কড়া মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অশান্তি নিয়ে অনেক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে, আমরা বাস্তাব চিত্র জানতে চাই।” অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। কেউ ঘরছাড়া তো আবার বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছেন।
ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) সময়ে হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রান্তদের আইনজীবীরা জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জেলায় জেলায় অনেকেই ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এরপর বিচারপতিরা বলেন, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক। যে সমস্ত এলাকায় হিংসার খবর আরও বেশি করে আসছে, সেখানে পুলিশের সক্রিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।” যদিও ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট, মেয়াদ ২১ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এখনই বাহিনী ফিরবে না, ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন থাকবে কিনা, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। এই বেঞ্চে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের দেওয়া হিসেবেই বলছে জেলা থেকে রোজ ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।" আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের ডিজির কাছে মেইলে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ এসেছে। এরপর ১৮জুন পর্যন্ত অভিযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫৯টি। এর মধ্যে ২০৪টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১৭০টির অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি।
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই
ঘরাছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভাবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদলাত অনুমতি না দিয়ে বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি রাজ্য ডিজির দফতরের সমানে বসার জন্য আবেদন জানান কোর্টে। অপর দিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া দরকার ছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।