Hooghly: মুখে মাস্ক পরে জরুরি বিভাগের গেটের বাইরে ঘাপটি মেরে বসেছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর...
কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাস-সহ কয়েকজন বন্দিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মাস্ক চড়িয়ে রোগী সেজে ঘাপটি মেরে বসেছিল হামলাকারীরা। প্রিজন ভ্যান থেকে বন্দি বেরোতেই চারদিক থেকে ধেয়ে এল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। একেবারে ফিল্মি কায়দায়! মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে এসে গুলিবিদ্ধ খুনে অভিযুক্ত এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। শনিবার সকালে এমনই দুষ্কৃতী হামলা ঘটনার সাক্ষী থাকল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল।
ঘটনায় প্রকাশ, আদালতে তোলার আগে বেলা ১২টা নাগাদ কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাস-সহ কয়েকজন বন্দিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় গুলি চলে। মুখে মাস্ক পরে আগে থেকেই তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের বাইরে ঘাপটি মেরে বসেছিল। টোটোনকে নামানোর সময়েই আচমকা চলে পরপর গুলি।
আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
গুলিবিদ্ধ হয় টোটন বিশ্বাস নামে ওই দুষ্কৃতী। টোটন বিশ্বাসের পেটে গুলি লাগে। ভয় পেয়ে টোটোন ফের প্রিজন ভ্যানে ছুটে উঠে যায়। পরে, হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা টোটন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, খুন এবং অপহরণের মতো গুরুতর মামলাও। সম্প্রতি একটি মাদক মামলায় সে বন্দি ছিল হুগলির জেলে। এরই মধ্যে একটি পুরোনো কেসে তাকে রিমান্ডে নেয় চুঁচুড়া থানা। সেই কেসেই আজ আদালতে তোলার কথা ছিল তাকে।
এদিকে, ব্যস্ত সময়ে হাসপাতালে পুলিশের সামনেই গুলি চলায় অন্য বন্দি ও রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের গেট। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গোটা হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। কিন্তু, ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই গিয়ে পৌঁছেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সুপার অমিত পি জাভালগী। হামলাকারীদের সন্ধান পেতে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি