হুগলিতে মহিলাকে নিগৃহের অভিযোগ খোদ পুলিশের এসআই-এর বিরুদ্ধেই...
খানকুল থানা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবলমাত্র সন্দেহের কারণে এক মহিলাকে প্রথমে মারধর এবং সেইসঙ্গে লঙ্কা ঘষে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশের সাব-ইনস্পেকটরেরই বিরুদ্ধ। এ যেন ঠিক রক্ষকেরই ভক্ষকের মতো আচরণ! হুগলির (Hooghly) খানাকুল থানার মালঞ্চ এলাকায় এক ব্যক্তির ব্রেসলেট হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়া ব্রেসলেট পেয়েছেন ঐ মহিলা, এমনই সন্দেহে মহিলাকে বুধবার স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁর উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযুক্ত হলেন পুলিশের এসআই তুষার মণ্ডল। আপাতত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ খানাকুল থানা ঘেরাও করে। অপর দিকে নিগৃহীতাকে অসুস্থ অবস্থায় আরামবাগের (Hooghly) একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তাঁর সন্তান থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা আভিযোগ পেয়ে থানায় এফআইআর করেছি। অভিযুক্তকে সাসপেন্ডে করা হয়েছে।” একই সঙ্গে অভিযুক্ত তুষার মণ্ডল নিজে কিছুই বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “যা বলার ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকেই বলবো।”
পরিবারের (Hooghly) তরফ থেকে নিগৃহীতার শাশুড়ি বলেন, “আমার বউমাকে মিথ্যা অভিযোগে একমাস ধরে মানসিক ভাবেও অত্যাচার করছে ঐ তুষার। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বউমাকে মারধর করা হয়। মধ্যরাতে একাবারে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়িতে দিয়ে যায়। সেইসঙ্গে তাঁর হাতে এক হাজার টাকাও গুঁজে দেওয়া হয়।” অপর দিকে ঐ মহিলা বলেন, “আমাকে মারধর করে আঘাত করা হয়। সেই সঙ্গে চোখের তলায় কাঁচালঙ্কা ঘষে দেওয়া হয়।”
মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তিনি বলেন, “একটি ছেলের বক্তব্যের সাপেক্ষে আমার স্ত্রীকে সন্দেহের বসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই ছেলেও স্পষ্ট করে ব্রেসলেট সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। কিন্তু এভাবে মনগড়া, ভিত্তিহীন সন্দেহ করে অত্যাচার করে ঠিক কাজ করেনি পুলিশ। ওঁর প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি সুবিচার চাই। থানার (Hooghly) পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তি চাই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।