Trinamool kangaroo court meeting: চোপড়ার পরে হাওড়া, সালিশি সভার নামে ব্যবসায়ীর ওপর চড়াও তৃণমূল নেতারা
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা খলিল আহমেদ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ মেটাতে সালিশি সভা (Trinamool kangaroo court meeting)। আর সেই সভা থেকে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তাণ্ডব, লুটপাট কোনও কিছুই বাদ গেল না। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া (Howrah) জেলার সাঁকরাইলের কান্দুয়াতে। চোপড়ার মত এই সালিশি সভাতেও কাঠগড়ায় রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযুক্ত হিসেবে নাম আসছে পাঁচলার জুজুর সাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের। তাঁরই নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাণ্ডবের সময় আলমারি ভেঙে নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করা হয়। এর পাশাপাশি সোনার গয়না, দামি মোবাইল সেটও লুট হয়। তবে কাউকে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের নেতা হওয়ার জন্যই কি অভিযুক্তদের গায়ে হাত দিতে পারছে না পুলিশ?
জানা গিয়েছে, পাঁচলার এক ব্যবসায়ীর নাম শাহাবুদ্দিন সেপাই। তাঁরই মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য (Trinamool kangaroo court meeting) হয় শাহাবুদ্দিনের। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ ঠিক সেই সময়ে পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Howrah) উপপ্রধান খলিল আহমদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবকের একটি দল আসে। আলোচনার মাঝে শাহাবুদ্দিনকে ব্যাপক (Howrah) গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। এরপরে ফের একবার খলিল ফোন করে তাঁর দলকে ডাকেন। ৫০টি বাইক ও দুটি ম্যাটাডোরে করে দেড়শোর ওপর ছেলে সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁদের অধিকাংশ জনের হাতে ছিল লাঠি, রড ছুরি ভোজালি। তখন কোনওভাবে শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না, খলিলের দলবল শাহবুদ্দিনের পিছু নেয়। বেশ কিছুটা দূরে শাহাবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে তিনি লুকিয়ে পড়েন। এই সময় শাহবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় খলিলের দল।
শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য, “আমার মেয়ের এক জায়গায় পাকা দেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রীয়ের এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গেই মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় আমার স্ত্রী। তারপর ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর আমাকে ওদের তরফেই বলা হয় সভা হবে। বাড়ির লোক কথা বলবে। তাই একাই গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখি খলিলের দল এসেছে। তারপর তো এই কাণ্ড।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি (Howrah)। তবে খলিল আহমেদের নামে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।