২৫ ফেব্রুয়ারির পর, ফের ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম...
সন্দেশখালিতে স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যেতে ফের বাধা পুলিশের। বেশ কিছুক্ষুণ তর্কাতর্কির পর পুলিশের কাছে মুচলেখা দিয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছায় ৬ জনের প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য ইতি পূর্বে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যেতে ভোজেরহাটেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারার কথা বলে সেই দিন ঢুকতে দেয়নি। এরপর গতকাল রবিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে যায় এই টিম।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এই টিমে রয়েছেন বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ, এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক। এই টিমের পক্ষ থেকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মাঝের পাড়া, নতুন পাড়া, নস্করপাড়া, রাসমন্দিরের মতো জায়গাগুলিকে পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা। তাঁরা স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই থমথমে এলাকায় গুলিতে মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষিত নয় এবং মানুষের অধিকার লুট হয়েছে।”
সূত্রে জানা গিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যা ভাবনা বাজাজ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে বলেন, “২৮ থেকে ৭০ বছরের মোট ২০ জন মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন ৭০ বছের বৃদ্ধাকে ঘরের কোনে বসে নিজের মেয়ে এবং পুত্র বধূদের জন্য আতঙ্কে কান্না করতে দেখেছি। ক্যামেরার সামনে আসতে না চাওয়া এক মহিলার সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের বিবরণ শুনেছি। তাঁর স্বামী এখন গ্রামছাড়া। নিজের চার বছরের মেয়েকে নিয়ে রাতে লুকিয়ে রেখে দিন কাটাতে হচ্ছে। এলাকায় বেশীর ভাগ মহিলা শিবু হাজরার বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি অভিযোগ করেছেন। এলাকার আরও এক মহিলা বলেন, তৃণমূলের নেতাদের বিনোদন জোগাতে রাতভর পার্টি অফিসে গিয়ে থাকতে হতো। তবে মুখে যৌন হেনস্থার কথা না বলতে পারলেও শরীরের অনেক স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখিয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে কোনও সহযোগিতা পায়নি তাঁরা। পুলিশ তাঁদের অভিযোগকে শুনতে চায়নি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।