মুর্শিদাবাদের রামনগরে তৃণমূলের ফল খারাপ, জেলা নেতৃত্বকে দায়ী করলেন হুমায়ুন কবীর
হুমায়ুন কবীর সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্ফোরক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূল নেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি এর আগে চারজন বিধায়ককে পাশে নিয়ে শাওনি সিংহ রায় এবং অপূর্ব সরকারের অপসারণ চেয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, যদি কোনও ব্যবস্থা না হয়, তাহলে জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস ঘেরাও করবেন। শুধু তাই নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডোমকলে নির্বাচনী পথসভার দিন, তিনি বহরমপুরে নিজস্ব সভা ডেকেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেই সভা থেকে বিরত থাকেন। তখন তিনি বলেছিলেন, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে, একুশে জুলাইয়ের পর তাঁর দাবি নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামীকাল একুশে জুলাই শহিদ দিবস। ধর্মতলা যাওয়ার আগেই আবারও শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন হুমায়ুন কবীর (Murshidabad)। তিনি বলেন, সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে যেমন হয় ঠিক সেই রকম অবস্থা হয়েছে তৃণমূলের। জেলা কমিটির অনেকেই বিজেপির বাহক হিসাবে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা দলে থেকে দলের গাদ্দারি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আমি অবশ্যই তুলে ধরব। এই সত্যনারায়ণ রায় এখনও শাওনি সিংহ রায়ের বডি মেম্বার, তিনি কাল দশজন বিজেপির মেম্বার এবং পাঁচজন কংগ্রেসের প্রার্থীদের নিয়ে রামনগরঘাট পার করবার জন্য বিশেষ মদত করেন। তলে তলে যোগাযোগ রাখছেন। রামনগরে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী জেলা নেতৃত্ব। রাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি সর্বত্র এই অযোগ্য লোকেদের সম্পর্কে বলব।
হুমায়ুন কবীর (Murshidabad) বলেন, এখানকার পুলিশের ওসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ওসি। কিন্তু এই ওসি বিজেপির এবং কংগ্রেসের মেম্বারদের পাহারা দিতে ব্যস্ত। মহামান্য হাইকোটের নির্দেশ রয়েছে কমিশনারের উপর। কমিশনার আবার জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে পরবর্তী কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নির্বাচনের সার্টিফিকেট মূল্যহীন। তাই তিনি আজ সমস্ত জয়ী মেম্বারদের ডেকে বলেন, এখানে কংগ্রেসের জয়ী মেম্বারও আছেন, আবার নির্দলও আছেন। সবাই আমাদের সঙ্গে সঠিক সময়ে যোগদান করবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।