‘‘কিছু করেই মরবো’’! বিস্ফোরক ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক...
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আজ সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ‘‘২০২৬-এর আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই আমি নতুন দল তৈরি করবো।’’ বর্তমানে আমি তৃণমূলের বিধায়ক, ২০২৪ সালে পার্লামেন্ট ভোটে দেখে নেবো, আর তারপরেই দল গঠন করব। তৃণমূলের তরফ থেকে শোকজের অভিযোগ করা হলে, উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পর্ব থেকেই হুমায়ুন কবীর দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দল এবার শোকজ করলে, তিনি সাংবাদিকদের সামনে নতুন দল তৈরির কথা বলেন। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "যদি আমার কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি নতুন দল গঠন করবো এবং তা হবে ২০২৬ সালের ভোটের আগেই"। সেই সঙ্গে আরও বলেন, "আমি যে শুধু মুখে বলি তা নয়, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতেও পাবেন। এই দল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দল হবে না, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী হবে। দল যখন খুলবো তখন দেখবেন, নর্থ, সাউথে কোথায় আমার কত লোক রয়েছে। সব দেখতে পাবেন ধৈর্য ধরুন।" এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আরও বলেন, "মার্কসবাদী দল আমি করব না। কারণ বিগত ৩০ বছর রাজনীতি করেছি আর এর মধ্যে বামপন্থীরা ২৭ টি রাজনৈতিক কেস আমাকে দিয়েছে। এক সময় কংগ্রেস দলও করেছি, এখন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক।"
হুমায়ুন বলেন, "১৯৯৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির আগে আমি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেস করতাম। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী এবং সৌমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি। এই তৃণমূল দলটা তো তখন কয়েকজন মিলে তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের রেজিস্ট্রেশন কার নামে আছে! তার কপি আমার কাছে আছে। সুতরাং হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন আমি মুখে বলছি, হুংকার দিচ্ছি, কিছুই হবে না! তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি ধৈর্য ধরুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত, এরপর দেখবেন হুমায়ুন মুখে যা বলে, কাজেও তাই করে।" তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, "মানুষের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ বাঁচার জন্য তার শেষ চেষ্টা করে। আমারও ঠিক তাই, কিছু করেই মরবো।"
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, "জেলানেত্রী আশায় বুক বেঁধেছেন যে হুমায়ুনকে দল বার করে দিলে তাঁদের লুটপাট ভালই চলবে। আজ দু'ঘণ্টা আগে শোকজের চিঠি পেয়েছি। আর চার দিন ধরে শোকজের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ বারোটার সময় আমার ছেলে চিঠি রিসিভ করছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তার উত্তর আমি তৈরি করে বিধানসভায় উপস্থিত হবো। এরপর হাতে হাতে চিঠিটা রিসিভ করে নিয়ে আসবো।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।