সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন তুফানগঞ্জের মানিক!
সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধার কাজ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিন ধরে উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে (Uttarakhand tunnel) আটকে থাকা ৪১ জনের শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন তুফানগঞ্জের এক শ্রমিক। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশপাশি পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে পরিবারের লোকজন দিন গুনছেন। স্বামীর জন্য দুশ্চিন্তায় ইতিমধ্যেই স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসন জোর কদমে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে (Uttarakhand tunnel) উদ্ধার কাজে প্রশাসন নেমেছে। মঙ্গলবার ৬ ইঞ্চি পাইপ লাইনের মাধ্যমে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিকদের অনেকেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে থাকা শ্রমিকের মধ্যে তুফানগঞ্জের এক শ্রমিকের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম মানিক তালুকদার। বাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। তাঁর সঙ্গে পরিবারের সারাসরি কথা না হলেও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপরে স্বামীর চিন্তায় স্ত্রী মণি তালুকদার অস্থির হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুড়ঙ্গের (Uttarakhand tunnel) মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ভিতের খবরাখবর নেওয়া হয়। একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পাইপের মাধ্যেমেই পাঠানো হয় মোবাইল ফোন, চার্জার। এর মাধ্যমেই বাইরের প্রশাসন এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পাইপের মধ্যে দিয়েই খিচুড়ি, ডালিয়া এবং নানা রকম ফল সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে মনোবল।
উত্তরকাশীতে ৬০ মিটারের বেশি গভীর সুড়ঙ্গের (Uttarakhand tunnel) মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গ হল চারধামকে সংযোগ করার একটি সরল সড়ক। ভিতরে চারিদিকে ধ্বংসস্তূপের অবশেষ জমে রয়েছে। উদ্ধার কাজ করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদলও ঘটনাস্থলে কাজ করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। পাশ থেকে সুড়ঙ্গে ঢোকা সম্ভব নয়, তাই উপর থেকে মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।