Water: দার্জিলিং-সহ কোন কোন রুটে চলবে হাইড্রোজেন ট্রেন?
হাইড্রোজেন ট্রেন (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রেল ট্র্যাকে ছুটবে এমন একটি ট্রেন, যার জন্য লাগবে না কোনও ডিজেল, লাগবে না কোনও বিদ্যুৎ। শক্তি জোগাবে জল থেকে পাওয়া হাইড্রোজেন (Hydrogen Train)। যাবতীয় পরীক্ষায় যদি সফল হয় তাহলে এটাই হতে চলেছে ভারতের প্রথম ট্রেন যা জলের সাহায্যে চলবে। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের বন্দে ভারত বা অমৃত ভারতের মতো ট্রেন সাড়া ফেলে দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। বুলেট ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে হাই়ড্রোজেন ট্রেন চালুর হওয়ার বিষয়টি সর্বত্র সাড়া ফেলে দিয়েছে।
হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen Train) চালু হতে আর খুব বেশি দেরিও নেই। আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরেই এই ট্রেন চালু হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় রেলের লক্ষ্য হল, ২০৩০-এর মধ্যে রেলকে কার্বন-মুক্ত করে ফেলা। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত একগুচ্ছ ট্রেন চলে প্রতিদিন। লোকাল ট্রেন থেকে দূরপাল্লার রুটে যে অজস্র ট্রেন চলে, তার জন্য দূষণও বাড়ে। এবার দূষণ মুক্ত করার লক্ষ্যে একধাপ এগোতেই হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করতে উদ্যোগী রেল। এই ট্রেনের শক্তি জোগান দেওয়ার মূল উৎসই হল জল। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের বদলে এতে থাকবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল। জল আর বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ উপন্ন হবে। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে ভারতীয় রেল ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করতে চাইছে। এর ফলে বাতাসে মিশবে না কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড। শুধু তাই নয়, নয়েজ অর্থাৎ ট্রেন থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তার পরিমাণও কম হবে এই হাইড্রোজেন ট্রেনে। অন্তত ৬০ শতাংশ কম শব্দ উৎপন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশ জুড়ে ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত
গোটা ভারতের বিভিন্ন রুটে এই ট্রেন (Hydrogen Train) চালানোরপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার জিন্দ-সোনিপাত রুটে এই ট্রেনের ট্রায়াল চলবে। ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে ওই ট্রেন। যে সব রুটে এই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি-মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে। মাথেরান, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলিমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেওঘর রুটে চালানো হতে পারে।এক একটি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরিতে খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া রিফুয়েলিং স্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই ৩৫টি ট্রেন হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
জলের সাহায্য চলবে বলে যে এই ট্রেনের (Hydrogen Train) গতি কম হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। রেল জানিয়েছে, একভাবে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ১ হাজার কিলোমিটার যেতে পারবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের আওয়াজ অন্তত ৬০ শতাংশ কম। তবে যাত্রা অত্যন্ত আরামদায়ক হবে বলেই মনে করছে রেল। জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ৪০,০০০ লিটার জলের প্রয়োজন হবে এই ট্রেন চলার জন্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।