দুর্নীতি ইস্যুতেও মমতা সরকারকে তোপ সৌমেন্দ্রনাথের...
সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে থাকাকালীন গত ১০ নভেম্বর রাজ্যপালের কাছে ই-মেল মারফত নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee)। দেশে ফিরে শুক্রবার তিনি সরাসরি রাজভবনে হাজির হন এবং পদত্যাগ পত্র জমা দেন সিভি আনন্দ বোসের কাছে। এদিন মমতা সরকারের অসহযোগিতা এবং তাঁর প্রতি অসম্মানের কথাই উঠ আসে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। এজির পদত্যাগ ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘আত্মসম্মান বাঁচাতেই অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ ছেড়েছি।’’
প্রশ্ন হল, রাজ্যে ফিরেই সশরীরে সিভি আনন্দ বোসের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া যেত কিন্তু তড়িঘড়ি করে হঠাৎ তিনি বিদেশ থেকে কেন ইমেল মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠালেন? এর উত্তরে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “অস্বস্তি অনেকদিন ধরেই ছিল। যারা আমাকে বলেছিল এই পদ নিতে, ওরা সবসময় আমার সঙ্গে দাঁড়ায়নি। কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল, যা আমার ছিল না। সেই বেসিসে যখন দেখলাম সরকার এগোচ্ছে আর ওই স্টেটমেন্টগুলোকে হাতিয়ার করছে, আমার এই পদে থাকার কোনও মানেই হয় না।”
মমতা সরকার তাঁকে অসম্মানিত করেছে। এই অভিযোগ এনে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “আমারও মান-সম্মান আছে। তাই ঠিক করলাম আর একদিনও এই পদে যেন থাকতে না হয়। পলিটিকাল এস্টাবলিশমেন্টের জন্য রাজনীতি হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মতভেদ হতেই পারে। কিন্তু যে ধরনের সাপোর্ট দরকার ছিল এই পদে থেকে, তা হয়নি। যে কারণেই হোক, আইনজীবীরা আছেন, প্যানেল বদল হয়, কোনও ক্ষেত্রেই আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। যে ধরনের প্যানেল হলে হয়ত সুবিধা হত, তা আমি পাইনি। কাজের চাপ প্রচুর ছিল।”
রাজ্য সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন। এনিয়ে নিজের অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে সৌমেন্দ্রনাথ (Soumendranath Mukherjee) বলেন, “দুর্নীতির ব্যাপারে আমার অবস্থান স্পষ্ট ছিল। রাজ্য কোনও দুর্নীতি সমর্থন করতে পারে না। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে, রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট থাকা দরকার যে তারা সমর্থন করছে না। রাজ্যের দেখা উচিত যারা দুর্নীতির জন্য দায়ী, তারা যেন শাস্তি পায়। আমি সে ধরনের কাউকে সমর্থন করিনি, করবও না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।